রংপুর, পীরগঞ্জে থেকে
মোস্তাফিজার রহমান ,গতকাল ২৫/০১/২০২০ইং শনিবার উপজেলার সচেতন নাগরিক ও সুধী সমাজের ব্যানারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্তরে সকাল ১১.০০ টায় মানববন্ধন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিনের পক্ষে সুধী সমাবেশ ও স্বারকলিপি প্রদানের কর্মসুচী থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়নি। পাশাপাশি আয়োজকদেরও দেখা পাওয়া যায় নি। এ দিকে পীরগঞ্জ অডিটরিয়াম হলের পার্শ্বে ব্যানার নিয়ে আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের দেখা যায়, এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিন সংবাদকর্মীদের বলেন, মানববন্ধনের বিষয়ে আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অবগত হই। কে বা কারা এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে তা জানি না। তিনি আরো বলেন আমার অনিয়ম দূর্ণীতি নিয়ে অনেকেই কথা বলছেন ।
কেউ যদি আমার অনিয়ম-দূর্ণীতির প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে আমি স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে ইস্তোফা দিবো,চাকুরী ইস্তোফা দেওয়া লাগবেনা, অনিয়মের ফিরিস্তি শোনেন,পীরগন্জে যোগদান করার পর্বে ঘোড়াঘাট থাকা অবস্থায় ইউ এন ও অফিসের চতুরপার্শ্বে গাছ কাটার কারনে তার বিরুদ্ধে অত্র উপজেলার সাংবাদিকরা পত্রিকায় নিউজ করেছিলো,তা সংরক্ষিত আছে,পীরগন্জ ইউ এন ও অফিসের চারপার্শ্বে যেভাবে গাছগুলো কেটেছে এটা কি অনিয়ম এর মধ্যে পড়েনা ? আপনারা সবাই জানেন কৃষি অফিসের একটি সরকারী গাড়ী আছে, ইউ এন ও অফিসের উত্তর ও দক্ষিন গেট বন্ধ করেছেন, তার অধীনের একজন কর্মকর্তাকে কি ভাবে চাপে রাখছেন এবং পীরগন্জ এর সাধারন জনগন এ রাস্তাটি প্রায় বহুদিন ব্যবহার করে আসছিলো তার একক সিদ্ধান্তে বন্ধ করেছেন এবং এই রাস্তার পার্শ্বে একটি উপজেলা হাসপাতাল, রোগীদের নিয়ে কি যে বিপদ হয়েছে, এটা কি তার ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম নয় ?, ২০ টাকার ফরম বিক্রি অপর দিকে সাংবাদিকদের সামনে ভিডিওতে দেখা যায় তার বক্তবে অনিয়ম করেন নাই মর্মে চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি,তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন তদন্ত টিম ঢাকা থেকে আসলো ? সময় হলেই সামনে সব বের করা হবে, প্রয়োজনে আবারও তদন্ত টিম আনা হবে,মানববন্ধন নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আয়োজকদের একজন বলেন, এই কর্মসূচি মূলত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে করা হয় তাহা আমাদের ডকুমেন্ট আছে ।
এদিকে “থবরের সময় ডটকম ” এর সাংবাদিক মুঠোফোনে কল করে দুর্নীতি ও অনিয়ম সর্ম্পকিত প্রশ্ন করলে ইউ এন ও ,পীরগস্জ টি এম এ মমিন , অনিয়ম-দূর্ণীতির কথা অস্বীকার করেন ্।
তিনি আরও বলেন , এখানকার ঘটনার সাথে আমার সাবেক অফিস /কর্মস্থলের কোন মিল নাই এবং আমি সেখানে কোন অনিয়ম দুর্নীতি করিনি ্।
ঘোড়াঘাট উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে স্থাণীয় পত্র পত্রিকায় অনিয়ম ,দুর্নীতির খবর লেখা হয়েছিল কি না ? প্রশ্নের উত্তরে , তিনি বলেন এ সংক্রান্ত ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না ।
বর্তমানে আমার অফিসে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছি , এতে কার কি হলো ? তা আমার দেখার বিষয় নয় । ফেসবুকে মানববন্ধন এর স্টাটাস সর্ম্পকে বলেন , আমি কোন পোষ্ট করিনি তবে আমার স্বপক্ষে মানববন্ধন হবে ,এমন পোষ্ট আমিও দেখেছিলাম ।